Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

জনস্বাস্থ্যে ইঁদুরের প্রভাব ও সচেতনতা

ইঁদুর জাতীয় প্রাণী বা Rodent (ইঁদুর, কাঠবিড়ালি ও সজারু) এ্যান্টার্টিকা মহাদেশ বাদে পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশে এদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। United States Department of Agriculture (USDA) এর তথ্য মতে, ‘গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা বিশ্বের অন্যতম ইঁদুর উপদ্রব এবং বংশবিস্তারকারী এলাকা। বাংলাদেশ আবার এদের মধ্যে অন্যতম। এখানকার উপকূলীয় লোনা ও মিঠাপানির মিশ্রণের এলাকাগুলো ইঁদুরের বংশবিস্তারের জন্য বেশ অনুকূল। ফসলের মাঠ ছাড়াও এ অববাহিকায় অবস্থিত হাট-বাজার ও শিল্পাঞ্চলগুলোতেও ইঁদুরের দাপট বেশি পরিলক্ষিত হয়’। অনেক জায়গায় ইঁদুর জাতীয় প্রাণী জন-মানব ও তাদের পালিত গবাদি প্রাণী বা পোষা প্রাণীর কাছাকাছি বসবাস করে। অন্যান্য জায়গায় বিশেষ করে উপশহর এলাকায় রোডেন্ট বন্যজীবন ও মানুষের মধ্যে বন্ধন সৃষ্টি করে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যে মানুষের মধ্যে জুনোটিক রোগ বিস্তার করে। মেরুদ-ী প্রাণী ও মানুষের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে বিস্তারযোগ্য রোগ ও সংক্রমণকে জুনোসিস (Zoonoses) কখনওবা জুনোটিক রোগ বলে অভিহিত করা হয় (বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা, ২০০৬)। কুকুরের মাধ্যমে জলাতঙ্ক জুনোটিক রোগের অন্যতম উদাহরণ। জুনোটিক রোগগুলো মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রায় হয়ে থাকে এবং কিছু কিছু সময় মৃত্যুর কারণও হতে পারে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) তথ্য মতে, মানুষের রোগের শতকরা ৬১ ভাগ উৎস জুনোটিক রোগ।


ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর উপদ্রবে বিশে^র অনেক দেশ অতীষ্ঠ। জনস্বাস্থ্যে ও এমনকি প্রাণী স্বাস্থে এর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। ইঁদুর ৬০টির বেশি রোগের জীবাণু বহন, সংরক্ষণ ও বিস্তার করে থাকে। অনেক ধরনের জুনোটিক রোগ, নানা প্রকার চর্মরোগ, কৃমিরোগ, ইঁদুর কামড়ানো জ্বর, জন্ডিস রোগের    জীবাণু ইঁদুর দ্বারা বিস্তার ঘটে। এসব রোগের জীবাণু ইঁদুরের মলমূত্র, লোমের মাধ্যমে বিস্তার ঘটে।
 

ইঁদুর বাহিত কিছু রোগ ও তার লক্ষণ
হানট্যান
(Hontaan) ভাইরাস বা রক্তক্ষরা জ¦র : পৃথিবীর অনেক শহরে ইঁদুরের দেহে হানট্যান ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ ভাইরাস পোষক হতে পোষকে আক্রান্ত লালা, মূত্র এবং মলের মাধ্যমে বিস্তার ঘটে থাকে। কিছু স্ট্রেইনের মানুষের ওপর অল্প-বিস্তর প্রভাব রয়েছে। অন্যগুলো নানা রকম লক্ষণসহ প্রধান অসুস্থতার কারণ হতে দেখা দিতে পারে।
 

টিক টাইফাস (Rikettsia conori) : কুকুর এ রোগের জন্য প্রধান ভা-ার, কিন্তু ইঁদুরও গুরুত্বপূর্ণ বাহক। এ রোগে আক্রান্ত টিকে (এক প্রকার কীট) কামড়ানোর ফলে মানুষে এ রোগের সংক্রমণ ঘটে। সমস্ত এশিয়াতে টিক এ রোগের বিস্তারে জড়িত।


স্ক্রাব টাইফাস(Orientia  tsutsugamushi) :  সমস্ত এশিয়াজুড়ে নানা রকম ইঁদুর জাতীয় প্রাণীরা (রোডেন্ট) এ রোগের প্রধান ভা-ার বা আধার। ট্রম্বিকিউলিড গণভুক্ত বিভিন্ন প্রকার মাকড়ের শূককীট যা    ‘চিগার’ (ঈযরমমবৎং) নামে পরিচিত, তাদের কামড়ে মানুষের মধ্যে রোগ সংক্রমিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা করা হলে মানুষের মৃত্যু হার কম হবে।


মিউরিন টাইফাস (Rickettsia typhi) : সমস্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এর প্রাদুর্ভাবের রিপোর্ট রয়েছে। ফ্লি (ঋষবধ) পোকার কামড়ে এ রোগের বিস্তার ঘটে অথবা আক্রান্ত মলের অথবা দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ফ্লির মাধ্যমে। এ রোগের কারণে মানুষের মধ্যে বৃহৎ পরিসরে রোগের লক্ষণ দেখা দিলেও মানুষ মৃত্যু হার অনেক কম।


কুইন্সল্যান্ড টিক টাইফাস অথবা স্পটেড জ¦র(Rickettsia australis): অস্ট্রেলিয়া পূর্ব উপকূল ধরে নি¤œ অবস্থান পর্যন্ত এ রোগ দেখা যায় এবং ওীড়ফরফ টিকস এ রোগ বহন করে। এ রোগ জীবাণুর প্রাকৃতিক ভা-ার হলো মারসুপাইয়াল মাইস, ব্যান্ডিকোটস, পুশাম (চড়ংংঁসং), ইঁদুর এবং মাইস (সরপব)। এ রোগের কারণে মানুষের মাঝে ব্যাপক লক্ষণ দেখা গেলেও মৃত্যু হার কম।


লেপটোস্পাইরোসিস (খবঢ়ঃড়ংঢ়রৎড়ংরং): খবঢ়ঃড়ংঢ়রৎধ গণভুক্ত নানা রকম স্পাইরোকিটস (ঝঢ়রৎড়পযধবঃবং) জুনোটিক রোগের জীবাণু মাঠের কালো ইঁদুর বহন ও বিস্তার করে। প্রায় সকল ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর প্রজাতিরা পোষক হিসেবে কাজ করে। একটি খোলা স্থানে ইঁদুরের প্রস্রাব দ্বারা দূষিত পানি, আর্দ্র মাটি অথবা উদ্ভিদের সংস্পর্শে আসলে মানুষে সংক্রমণ ঘটে। অধিকাংশ প্রজাতির মৃত্যু হার কম হয়। এ রোগের লক্ষণ ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের অনুরূপ হয় এবং কয়েক দিন হতে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত টিকে থাকে। লেপটোস্পাইরোসিস রোগের লক্ষণকে অনেকে আবার ম্যালেরিয়া বা ডেঙ্গু জ¦র ভেবে ভুল করে। যারা রোপণকৃত গাছপালা অথবা মাঠে কাজ করে তাদের এ রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
ইঁদুরের প্র¯্রাব বাহিত লেপ্টোস্পাইরা নামক এক ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে বাংলাদেশে। পত্রিকান্তে জানা যায়, সাধারণ জ¦র, সর্দি-কাশি, জন্ডিস ও গায়ে রেশ উঠা এ রোগের লক্ষণ হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগটি সঠিকভাবে শনাক্তে ব্যর্থ হচ্ছেন চিকিৎসকরা।


ইঁদুর কামড়ানো জ¦র বা র‌্যাট বাইট ফিভার (ঝঢ়রৎরষষঁং সরহড়ৎ) : ইঁদুর জাতীয় প্রাণীর কামড়ানোর দ্বারা এ রোগের বিস্তার ঘটে থাকে। স্পাইটোকিটসের (ঝঢ়রৎড়পযধবঃব) কারণে এ রোগ হয়। পৃথিবীর সর্বত্র এ রোগ দেখা যায়। অনেক সপ্তাহ পর্যন্ত এ রোগ সুপ্তবস্থায় থাকে এবং উপসর্গ সাধারণত ক্ষত সেরে ওঠার/শুকানোর পর দেখা যায়।
প্লেগ (ণবৎংরহরধ ঢ়বংঃরং) : এটি একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। প্রাথমিকভাবে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে এন্টিবায়োটিক দ্বারা চিকিৎসা করা যায়। এ রোগের জীবনচক্র হলো-

 

স্তন্যপায়ী প্রাণী ফ্লি (পোকা) স্তন্যপায়ী প্রাণী    
ইঁদুর জাতীয় প্রাণীরা এ রোগের প্রাথমিক পোষক। ইতিহাস থেকে জানা যায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি ঘটার পরও প্লেগ পৃথিবীব্যাপী পূর্বের ন্যায় মহামারি হিসেবে দেখা দিতে পারে। যদিও পৃথিবী অনেকাংশে এটি স্বাস্থ্যের জন্য একটি বিরাট সমস্যা হিসেবে বর্তমানে বিদ্যমান রয়েছে। এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়াতে ২০ শতাব্দীর প্রথমার্ধে সর্বশেষ এ রোগ মহামারি আকারে অবতীর্ণ হয়েছিল। ১৯৫০ সালে প্লেগের কারণে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মিজোরামে দুর্ভিক্ষ ও এমনকি সরকার পরিবর্তনের হাওয়া লাগিয়েছিল। ১৯৯৪ সালে ভারতের সুরাটে এবং ২০০৭ সালে ভারতের মিজোরাম ও মিয়ানমারে এ রোগের কারণে ব্যাপক খারাপ অবস্থা বিরাজ করেছিল।
সালমোনেলোসিস (ঝধষসড়হবষষড়ংরং): পৃথিবীব্যাপী সালমোনেলা (ঝধষসড়হবষষধ) ব্যাকটেরিয়া দ্বারা মানুষে সংক্রমণ হয়। সাধারণত এ রোগে আক্রান্ত ইঁদুর ও মাইসের মল দ্বারা দূষিত পানি অথবা খাদ্য গলাধ ঃ করণের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কিন্তু সঠিকভাবে প্রস্তুত নহে এরূপ খাদ্য খেলেও এ রোগ হতে পারে। অনেক প্রজাতির বিভিন্ন রকমের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।

 

টক্সোপ্লাজমোসিস (ঞড়ীড়ঢ়ষধংসড়ংরং) : এ রোগের কারণ ঈড়পপরফরধহ বর্গের ঞড়ীড়ঢ়ষধংসধ মড়হফর প্রজাতি। এ রোগের প্রাথমিক পোষক গৃহপালিত বিড়াল। ইঁদুর ও মাইসসহ (সরপব) অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী এ রোগের মধ্যবর্তী পোষক।
লাসা জ¦র (খধংংধ ঋবাবৎ) : লাসা জ¦র সর্বপ্রথম আবিষ্কার হয় ১৯৬৯ সালে নাইজেরিয়ার বোর্নো প্রদেশের লাসা শহরে। লাসা ভাইরাসের এক ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে রোগটি হয়। যেকোনোভাবে ন্যাটাল মাল্টিম্যামেট ইঁদুরের মলমূত্রের সংস্পর্শে এলে মানুষ লাসার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এছাড়াও  ফাটা বা ক্ষত হওয়া ত্বক অথবা শ্লেষা নিঃসরক ঝিল্লির মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে লাসা জ¦রের জীবাণু সংক্রমিত হতে পারে। ২০১৮ সালে নাইজেরিয়ায় প্রাণঘাতী লাসা জ¦রে প্রায় ৯০ জনের অধিক লোক মারা যায়।
অন্যদিকে ইঁদুর তিন ধরনের কৃমি বহন করে যেমন- নেমাটোড (কেঁচো কৃমি), ট্রিমাটোড (চ্যাপ্টা কৃমি) এবং সিসটোড (ফিতাকৃমি)। এসব কৃমি বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায়, যেমন- অহমরড়ংঃৎড়হমুষঁং পধহষড়হবহংরং ও ঈধষড়ফরঁস নবঢ়ধঃরপঁস রোগ। শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হলে মানসিক ভারসাম্যহীন বা হাবাগোবা হয়।

 

আমাদের করণীয়
ইঁদুরের নোংরা জায়গা পছন্দ, তাই ঘরবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাড়িতে আবর্জনা ফেলার বিন সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে এবং ঢেকে রাখতে হবে। বাড়িতে ইঁদুর প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাড়ির আশপাশের ঝোপ-ঝাড়-আগাছা, ছাদ ঘেঁষে উঠা গাছ বা বেয়ে উঠা লতাজাতীয় গাছ পরিষ্কার করতে হবে। পোষা প্রাণী এবং খাঁচায় পোষা পাখি থেকে পতিত ফল, বীজ ও অন্যান্য বর্জ্য নিঃসরণ করতে হবে। খাবারসামগ্রী ভালোভাবে মুখ বন্ধ করে পাত্রে রাখতে হবে। ইঁদুরের সংস্পর্শে আসা খাদ্য বা পানীয় ফেলে দিতে হবে। থালা-প্লেট ব্যবহারের পূর্বে গরম পানি ও ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। খাবার তৈরি, খাবার খাওয়া, পানীয় পানের আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় ইঁদুরের সক্রিয় উপস্থিতি দেখা গেলে সেখানে জুতা পরতে হবে এবং সেখানে শোয়া বা ঘুমানো যাবে না। ইঁদুর বা মাউস যদি কাউকে কামড় দেয় প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আক্রান্ত স্থান সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেখানে সারা বছর খাদ্য, বাসস্থান ও পানির নিশ্চয়তা প্রদানের স্থায়ী পরিবেশ রয়েছে সেখানে ইঁদুরের সংখ্যা বেশি। যেমন শহরে গ্রামের চেয়ে ইঁদুরের সংখ্যা বেশি। শহরের ডাস্টবিন ইঁদুরকে সারা বছর খাদ্য ও বাসস্থানের স্থায়ী নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। ড্রেন ও ছিদ্র পাইপ ইঁদুরকে পানির নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। ঘর-বাড়িতে বছরের নির্দিষ্ট কোন সময় নয়, সারা বছর ইঁদুর দমনের ব্যবস্থা নিতে হবে। বসতবাড়িতে বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ ব্যবহার করা যেতে পারে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে মশা নিধনের মতো ইঁদুর নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি নেয়া যেতে পারে।


আন্তঃপ্রতিষ্ঠান যোগাযোগ বৃদ্ধি
সরকারের জনস্বাস্থ্য (চঁনষরপ ঐবধষঃয) বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণে ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ চঁনষরপ ঐবধষঃয (ওচঐ) ও ঘধঃরড়হধষ ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ চৎবাবহঃরাব ধহফ ঝড়পরধষ গবফরপরহব (ঘওচঝঙগ) কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে ওহংঃরঃঁঃব ড়ভ ঊঢ়রফবসরড়ষড়মু, উরংবধংব ঈড়হঃৎড়ষ ধহফ জবংবধৎপয (ওঊউঈজ) জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত রোগের অতন্ত্র জরিপ, প্রাদুর্ভাব অনুসন্ধান ও গবেষণা কাজ পরিচালনা করে। এছাড়া দেশে আন্তর্জাতিক পরিম-লের প্রতিষ্ঠান ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈবহঃৎব ভড়ৎ উরধৎৎযড়বধষ উরংবধংব জবংবধৎপয, ইধহমষধফবংয (ওঈউউজ,ই) রোগ নির্ণয় ও  চিকিৎসা প্রদান করে যাচ্ছে। অপরদিকে প্রাণী চিকিৎসা বিষয়ে এ দেশে অনেকগুলো শিক্ষা-গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান। জনস্বাস্থ্য ও কৃষিতে অনিষ্টকারী ক্ষতিকর এ প্রাণী নিয়ন্ত্রণে  কৃষি সংশ্লিষ্ট শিক্ষা-গবেষণা-সম্প্রসারণ প্রতিষ্ঠান কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে মানুষ ও প্রাণী চিকিৎসা সম্পূর্ণ আলাদা একটি ক্ষেত্র। বিদ্যমান ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষের চিকিৎসক, প্রাণী চিকিৎসক এবং কৃষি বিশেষজ্ঞ/সম্প্রসারণবিদদের মাঝে আন্তঃযোগাযোগ বা জ্ঞান বিনিময়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ ঘাটতি রয়েছে। মহামারি বিষয়ে গবেষণাসহ অংশীজনের মাঝে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।
ইঁদুরের উপদ্রব বেশি হলে সম্ভাব্য সব রকম দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করেই ইঁদুর দমন করা উচিত। ইঁদুর দমনের জন্য কোন একটি একক পদ্ধতি খুব বেশি কার্যকর নয়,  এক্ষেত্রে একাধিক বা সমন্বিত দমন পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে। ইঁদুর দমনের সফলতা নির্ভর করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর। অতএব, সম্মিলিতভাবে ইঁদুর দমন করলেই কেবল ইঁদুরের উপদ্রব কমিয়ে ইঁদুরের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাবে ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।

কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম

অতিরিক্ত উপপরিচালক (এলআর), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ঢাকা, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর। মোবাইল নম্বর-০১৭১৯৫৪৭১৭৯। ইমেইল- ংধুবসফধব@ুধযড়ড়.পড়স

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon